আধুনিক জীবনযাপনে দাঁতের সমস্যায় জেরবার প্রায় সকলেই। আর মুখে বা দাঁতে সমস্যা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবাই উপেক্ষা করেন। বাড়ির পাশের ওষুধের দোকানে গিয়ে ব্যথা কমানোর বা অন্য ওষুধ কিনে নেন। এতে সাময়িক স্বস্তি তো মেলে। কিন্তু সমস্যা রয়েই যায়। তাই দাঁত ও মুখে এই লক্ষণগুলি দেখতে পেলে অবজ্ঞা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Borgenproject-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের দাঁতে ক্যাভিটি রয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ শিশুর চোয়াল এবং দাঁত খারাপ। ভারতে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান না। ওষুধের দোকানির পরামর্শ নেন। মাত্র ২৮ শতাংশ ভারতীয় দিনে দু’বার ব্রাশ করেন। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিলে এবং চেক-আপ করালে সমস্যা ধারেকাছে ঘেঁষে না।
মুখ ও জিহ্বায় ফোলাভাব ও ব্যথা
মুখ বা জিহ্বায় ফোলা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। মুখে বা জিভে কোনও পিণ্ড বা ফোলা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো দরকার। কখনও কখনও এটি ক্যান্সারের উপসর্গও হতে পারে।
মুখের ফোস্কা ও ছাল ওঠা
কারও মুখে ক্রমাগত ফোস্কা পড়লেও অশনিসংকেত হতে পারে। মুখের ঘা আলসারের উপসর্গ। এর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি ১০ দিন পরেও মুখের আলসার ভালো না হয়, গিলতে অসুবিধা হয় বা কিছু খাওয়ার পর মুখে ব্যথা হয়, তাহলেও বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে ডাক্তার দেখান।
মাড়ি থেকে রক্তপাত
মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে রোগের লক্ষণ হতে পারে। ব্রাশ করার সময় অনেকের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়। এর চিকিৎসা না হলে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই সমস্যায় কোনও যন্ত্রণা হয় না। তাই উপেক্ষা করার প্রবণতা বেশি।
মুখে অস্বাভাবিকতা
মুখে বা দাঁতে এমন কোনও উপসর্গ অনুভব করেন যা স্বাভাবিক বলে মনে না হয়, তাহলেও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। অনেক সময় দাঁতের রোগের গুরুতর অসুখও হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেন না মানুষ। এতে ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে তা মারাত্মক রূপ নেয়। মাড়ির সমস্যা সবচেয়ে বিপজ্জনক। সুচিকিৎসা না করালে আশেপাশের হাড়ের ক্ষয়ও হতে পারে। তাই মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।