আহা! মা আমার দাঁতে কি ভীষন ব্যাথা, কিন্তু আমি ডেন্টিস্টের কাছে যাব না, অনেক ব্যাথা লাগবে। আপনার শৈশবে বা আপনার বর্তমান সময়ে আপনি কতবার এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ? দাঁতের যন্ত্রণার চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই… ঘুমহীন রাত এবং ক্ষুধামন্দা শেষে আইসক্রিম বা আইসপ্যাক দিয়ে মেটাতে। নয়ত খুব বারাবারি হলে পেইনকিলার ভরসা।
এই ব্যথা দাঁতে আটকে থাকা খাবার বা দাঁতের ক্ষয় থেকে হতে পারে, আবার অনেক সময় মাড়ির সমস্যার জন্যও হয়। ঠিকমত দাঁতের যত্ন না নেওয়া এবং মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় না রাখায় এই ধরনের ব্যাথা বেশি হয়।
প্রথমে ঠান্ডা পানীয় খেলে বা সামান্য হাওয়া তে দাঁতের সংবেদনশীলতা দিয়ে এই ব্যাথা শুরু হয়। তারপর এমন একটি পর্যায়ে পৌছে যায় যে অস্থায়ী স্বস্তি দেওয়ার জন্য দাঁতের মধ্যে লবঙ্গের টুকরো রাখতে হয়, নতুবা অ্যান্টি-সেনসিটিভ টুথপেস্ট বা বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করি। যাইহোক, আমরা কিন্তু এই পর্যায়েও একটা ডেন্টিস্ট দেখানোর প্ল্যান করি না।. তারপর ব্যাথা এমন একটা পর্যায়ে আসে যখন কোনো রকম খাবার খাওয়া অসহ্য হয়ে পড়ে, কিছু খেলেই ব্যাথা। এরপর আরও কিছুদিন অপেক্ষা করি যে ব্যাথাযদি আপনাআপনি কমে যায় কিছুদিনে। কিন্তু তারপরও যখন ব্যাথা কমার বদলে উল্টে বেড়ে যায়, তখন বাধ্য হয়ে আমরা তড়িঘড়ি ডেন্টিস্টের কাছে দৌঁড়ায়। আর ততক্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ দাঁতের এমন অবস্থা হয় যে হয় সেটা হয় তুলে ফেলতে হবে, নয়ত অত্যাধিক খরচা সাপেক্ষ রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করে দাঁতটা বাচাতে হবে।
এসবের ফলে ট্রিটমেন্ট খরচা একদিকে যেমন অনেক বেড়ে যায়, তেমনি ঔষধের জন্যও অনেক খরচা বেড়ে যায় এবং নিয়মমাফিক ওষুধ খেতে হয় ও কঠোর ডায়েট ফলো করতে হয়, যা খুবই কষ্টদায়ক। এর পাশাপাশি অন্যান্য দাঁতেও ইনফেকশান ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনাও বাড়তে থাকে।
একারনেই, দাঁতের সামান্য ব্যাথা বা সংবেদনশীলতা অবহেলা করবেন না, শেষমেষ আপনার দাঁতটাই চলে যেতে পারে, সাথে অন্যান্য দাঁতগুলোতেও সংক্রমনের সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাই দাঁতের সামন্য কিছু অসুবিধা বুঝলেই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া শুরু করুন। Dentistry is not expensive, Neglect is !